সিজে নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্কুলের লেপটপ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার ও নৈশো প্রহরীর জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষ ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার সাহার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েই চন্দন কুমার সাহা নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামসুদ্দিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ্য রয়েছে, অভিযুক্ত চন্দন কুমার সাহা উক্ত স্কুলে বিগত ৪ বছর যাবত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত সরকারি অনুদানের অর্থের কোন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি তিনি। বিভিন্ন সময় উত্তর টাকা খরচের কথা বললেও তিনি তা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি করোনা মহামারী কালীন সময়ে বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের আত্মরক্ষামূলক সামগ্রিক ক্রয়ের জন্য সরকার নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করলে সেটিও তিনি আত্মসাৎ করেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক ৪টি ল্যাপটপ প্রদান করা হলেও এর মধ্যে একটি ল্যাপটপ দীর্ঘদিন যাবত তিনি তার বাড়িতে রেখে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষটি স্কুলটির অন্য একজন সহকারী শিক্ষককে ব্যবহার করতে দিয়েছেন এবং তিনি নিজেও মাঝেমধ্যে উক্ত কক্ষে রাত্রীযাপন করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক চন্দন কুমার সাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। আমি দায়িত্ব পালন কালীন যত টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এর পুরোটাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় করেছি। এছাড়া আমার একজন সহকারী শিক্ষকের বাড়ি বিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে হওয়ান দপ্তরীর জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষটিতে উনাকে থাকার অনুমতি দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাড়িতে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির এক সরকারি শিক্ষক জানান তিনি চারটি ল্যাপটপ এর মধ্যে তিনটি ল্যাপটপ বিদ্যালয় দেখেছেন। তবে অন্য ল্যাপটপটি কখনোই বিদ্যালয়ে দেখেননি।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. তাজমুন্নাহার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।