সিজে নিউজ ডেস্কঃ
সাভারের শুকুরজান জিন্নত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নওশের আলীকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়টির বর্তমান ও প্রাক্তন শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জামসিং-ভাটপাড়া সংযোগ সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা প্রধান শিক্ষককের পদত্যাগ মানিনা মানবোনা, শিক্ষকদের হুমকি কেন জবাব চাই, স্কুলে দালালী চলবেনা, আমাদের স্কুলে আমরাই থাকবোসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
মানববন্ধন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, নওশের স্যার দুইযুগ ধরে আমাদের এখানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন কখনো তিনি কোন অনিয়ম ও দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়নি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষককে অপমান ও হেনস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নিয়েছে। যেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আমাদের প্রিয় শিক্ষককে আবারো বিদ্যালয়ে ফিরে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবী তুলে ধরেন।
বিষয়টি সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশের আলী জানান, স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল কাদের ও মো. সবজল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি ২০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নিকট বিক্রয় করে পরবর্তীতে জানা যায় সেই জমির প্রকৃত মালিক তারা নন এটি মূলত সরকারি খাস জমি। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযুক্তরা জমি এবং জমি বিক্রি বাবদ নেয়া অর্থ কোনটিই আর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেয়নি। এছাড়া বিগত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আব্দুল কাদের সভাপতি হওয়ার জন্য মো. সবজল হোসেনসহ ৫ জন প্রার্থীর একটি প্যানেল দেন। কিন্তু নির্বাচনে তারা সকলেই পরাজিত হওয়ায় আমিসহ স্কুলের ৫জন সিনিয়র শিক্ষকের উপর ক্ষুব্দ হন এবং আমাদেরকে বিভিন্ন নানান হুমকিও প্রদান করেন। এরই জের ধরে গত ১৯ আগস্ট অভিযুক্ত আব্দুল কাদের, সবজল ও শরিফসহ আরো ৩০/৪০জন লোকজন বিদ্যালয়ে গিয়ে আমাকে খুঁজতে থাকে এবং মাইকে আমাকেসহ অন্যান্য শিক্ষদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। আমি সেদিন শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় আমাকে না পেয়ে তারা মিছিল করতে করতে আমার বাড়িতে এসে আমাকে নানান হুমকি ও গালাগাল দিতে থাকে একপর্যায়ে তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এবং আমাকে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সাক্ষর করিয়ে নেয়। আমি এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।